দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরের মিনিট প্রতি কলচার্জ ১০ পয়সা করার দাবি জানিয়েছে সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট। বিটিআরসি সব মোবাইলের জন্য প্রতি মিনিট সর্বোচ্চ ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা ট্যারিফ নির্ধারণের পর গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় গ্রাহকদের সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির নানা ভূমিকার সমালোচনাও করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুষার রেহমান। বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদও এতে উপস্থিত ছিলেন। বিটিআরসির কলরেট নির্ধারণকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করে তুষার রেহমান বলেন, কলরেট বিষয়ে বিটিআরসির ভাষ্য শুনলে মনে হয়, তারা মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাণিজ্যের অংশীদার বৈ কিছু নয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কখনও কলরেট বাড়িয়ে, কখনও নানা প্যাকেজের ‘ফাঁদে’, কখনো বা ভিওআইপি ব্যবসার ফাঁকে মোবাইল ফোন অপারেটররা বিদেশে ‘প্রায় ৫ লাখ কোটি’ টাকা পাচার করেছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগ তুলে তা তদন্তের দাবিও জানায় সংগঠনটি। মোবাইল ফোনের কল চার্জ বিষয়ক গবেষণার জন্য বিটিআরসি একসময় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপার্সকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তবে হাউজ কুপার্সের ‘সঠিক প্রতিবেদন’ প্রকাশিত হয়নি বলে জানিয়ে মার্গুব মোর্শেদ বলেন, আমাদের দেশের ন্যাশনাল অডিট হাউজই এই কাজ করতে পারবে। তারাই বের করতে পারবে কত টাকা ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে, কত টাকাই বা দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে। দরকার নেই হাউজ কুপার্সের। সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন তুষার রেহমান। দুই দশকে মোবাইল ফোন অপারেটটরা কত টাকা বিদেশে নিয়েছে, তা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তিনি। বিটিআরসির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সামাজিক পর্যালোচনা পরিষদ গঠনের দাবিও জানানো হয়। তরুণ প্রজন্মের কথা ভেবে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ৮ ঘণ্টা প্রতি মিনিট সর্বোচ্চ কল চার্জ ১ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট। প্রতি ১০ জিবি ইন্টারনেটের মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছে তারা।