তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ওপেন গভর্নমেন্ট পোর্টাল করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইটের মালিকও এখন বাংলাদেশ। সরকারের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যগুলো সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্তও রাখা হয়েছে। জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী ‘এশিয়া ওপেন একসেস ঢাকা-২০১৯’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর আয়োজন করেছে। পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক বিষয়গুলো সহজ করতে বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা স¤প্রসারণের জন্য দেশের স্কুল-কলেজসমূহে ৯ হাজারের অধিক ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে যেমন জানতে পারছে তেমনি আধুনিক প্রযুক্তি নিয়েও তাদের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে চারটি বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তবে বর্তমান সরকার রোবটিকস ইন্টারনেট অব থিংকস, বøক চেইন, ওপেন ডেটা, বিগ ডেটার মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ শুরু করছে। যেসব উদ্যোগ থেকে কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্ত কাজে লাগানো যায়, দারুণ কিছু করা যায় সেগুলোও নিয়ে কাজ চলছে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ লাখ। আর এখন সাড়ে ৯ কোটির বেশি। সরকারের কোন দফতরে ডিজিটাল সার্ভিস ছিল না। এখন ৫ শতাধিক সেক্টরে অটোমেটিক সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আইটি সেক্টরে কোন কর্মসংস্থান ছিল না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সেক্টরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এখন কাজ করছে। ইনফরমেশন কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক গ্রাম পর্যায়ে চলে গেছে। প্রায় ৩৮শ’ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি এলাকা ডিজিটাল হাইস্পিড ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ওয়ায়েস কবির, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস ও বিআরসির পরিচালক মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী অনুষ্ঠানের বক্তৃতা করেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি-বছরই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এবার এ আয়োজন করা হযেছে বাংলাদেশে। এশিয়ার মধ্যে ওপেন একসেস, ওপেন সায়েন্স, ওপেন এডুকেশনের সামগ্রিক অবস্থাসহ নানা বিষয় বিস্তারিতভাবে সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ব্যাক্তি এতে অংশগ্রহণ করছেন।