কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা। নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে এমনই দাবি করেছেন তিনি।
মিমির স্থাবর সম্পত্তির ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। পাশাপাশি ১৯ লাখ টাকার গাড়ির ঋণও রয়েছে তার নিজের নামে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার হাতে আছে ২৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকে আছে ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর বিভিন্ন ফান্ডে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করেছেন মিমি।
এছাড়া তার কাছে সোনা আছে প্রায় ২৭১ গ্রাম। ২০১৭-১৮ সালে তার রোজগার ছিল ১৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। মিমি জানান তার নামে কোনো মামলা নেই বা কোনো মামলায় তিনি কখনও দোষী সাব্যস্ত হননি। প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে চমক দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
নির্বাচনে প্রচার শুরু করে কয়েকবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তার কয়েকটি মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। এমনিতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রটি সব দিক থেকেই আলাদা। এই আসনে সাম্প্রতিক কালে ২০০৯ সালে প্রথম বাম বিরোধী প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন কবির সুমন। তারপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসু তৃণমূলের টিকিটেই জিতে লোকসভায় যান। এবার মিমিকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সংসদীয় যাত্রা শুরু হয়েছিল এই যাদবপুর কেন্দ্র থেকেই। ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তিনি।
মিমি বলেছেন, আমি শুধু চাই যে সকলে আমাকে আশীর্বাদ করুন। আমি বিশ্বাস করি যে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হবই।