সুবর্ণা মুস্তাফা। বাংলা চলচ্চিত্রের এক অনন্য নাম। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, প্রযোজক আবার সংসদ সদস্য। আশির দশকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পরবর্তীতে রুপালি পর্দায়ও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন।
টিভি নাটক ও সিনেমার পাশাপাশি দীর্ঘ ২২ বছর তিনি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে দিয়েছে ‘একুশে পদক’। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
রোববার (২ ডিসেম্বর) সেই জীবন্ত কিংবদন্তি সুবর্ণার জন্মদিন। পা রাখলেন ৬০ বছরে। তিনি ১৯৫৯ সালের এ দিনে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত গোলাম মুস্তাফা।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঘরোয়া পরিবেশে সাদাসিধে ভাবেই জন্মদিন কাটাবেন সুবর্ণা মুস্তাফা। সত্তরের দশকে ঢাকা থিয়েটারে নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকের মাধ্যমে সুবর্ণার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ ছবির মাধ্যমে আসেন চলচ্চিত্র জগতে।
এরপর ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ এবং পরের বছর ‘নয়নের আলো’ ছবি দুটি দিয়ে তিনি খ্যাতির শিখরে ওঠেন। এছাড়া ‘পালাবি কোথায়’ ও ‘গহীন বালুচর’ ছাড়াও বহু ব্যবসাসফল ছবিতে তাকে প্রতাপের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির সাবেক স্ত্রী। ১৯৮৪ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ২০১২ সালে ফরীদি মারা যাওয়ার চার বছর আগে ২০০৮ সালে ভেঙে যায় তাদের দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার।
ওই বছরই সুবর্ণা মুস্তাফা চলচ্চিত্রকার বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দৃপ্ত পদচারণার পর সুবর্ণা মুস্তাফা ২০১৯ সালে নাম লেখান রাজনীতিতে। ফেব্রুয়ারিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন ঢাকা-২২ থেকে তিনি মনোনয়ন পান এবং পরে তাকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।