নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টি নান্দনিক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল
তারিথ
: ১৪-০৬-২০২০
স্বপ্না আক্তার, নীলফামারী প্রতিনিধি :
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রয়েছে এদেশের লাখো কোটি মানুষের হৃদয়ে। এবার তার অমর গাঁথা স্মৃতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অঙ্গনে।২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবির) অর্থায়নে, নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম বারি পাইলটের নির্দেশনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদের উদ্যোগে নির্মিত এ ম্যুরালটির উপজেলা প্রশাসনিক অঙ্গনের পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সামনে চা বাগান বেষ্টিত সুবিস্তৃত এলাকায় চতুুুর্রভূজ আকৃতিতে স্থাপিত এ ম্যুরালটি ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে খুব জোড়ে শোড়ে। প্রথম নির্মিত হচ্ছে এ উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় প্রবেশ পথে নান্দনিকতা ও স্থাপত্য-শৈলীর ছোঁয়ায় টাইলস দিয়ে রৌদ্র ছায়ার প্রবেশ মুখে স্থাপন করা হচ্ছে অমর কৃতিমান পুরুষ জাতির জনকের ম্যুরালটি। মেইন ফটক থেকে আগন্তুকদের দৃষ্টি কাড়বে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দিত বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত নির্মিত ম্যুরালটি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারি পাইলট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নির্দেশে দেশে এসেছে মহান স্বাধীনতার ঘোষণাও। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিধন্য এ উপজেলাতে নেই জাতির জনকের কোনো ম্যুরাল। তাই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে এ উপজেলায় একটি ম্যুরাল স্থাপন করা হচ্ছে। যে ম্যুরালটি উপজেলায় আগত সর্বস্থরের মানুষের নজরে আসবে আর শিশু কিশোরদের মনে জাগ্রত হবে বঙ্গবন্ধু প্রতিচ্ছবি দেখে মুক্তিযুুুদ্ধের ইতিহাসের তাৎপর্য। বঙ্গবন্ধুকে আমি ভালবাসি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া একজন তরুণ সৈনিক আর ম্যুরাল নিমার্ণ করাটা আমার একটি স্বপ্ন ছিল। আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর এ প্রতিকৃতি নিমার্ণ করতে পেরে নিজেকে আজ ধন্য মনে করছি।