সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করবে বিএম কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যারা গুরুতর আহত হয়েছেন কিংবা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন তাদেরকে ৬ লাখ টাকা করে এবং অপরাপর আহতদের ৪ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিএম কন্টেইনার ডিপোর অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী, স্মার্ট গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী আজ সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অনাকাক্সিক্ষত ভয়াবহ অগ্নিকা- এবং বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় বিএম কন্টেইনার মালিকপক্ষ গভীর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন কিংবা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন তাদেরকে ৬ লাখ টাকা করে এবং অপরাপর আহতদের ৪ লাখ টাকা প্রদান করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর থেকে ২০টি এম্বুলেন্সের মাধ্যমে আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। রোগি ও তাদের আত্মীয় স্বজনের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধের জন্য চারটি দোকানকে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহতদের রক্তদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি প্রায় ৫০০ জনকে কোম্পানির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৮০ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে রোগীদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। সেইসাথে আহতদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তা দেবার ঘোষণা দেয়া হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে। বিএম কন্টেইনার মালিক পক্ষ আরো জানান, এই মর্মান্তিক অগ্নিদুর্ঘটনায় কর্মচারী নিহত হলে তাদের পরিবারে শিশু থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাঁর পরিবারকে বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রদান এবং উপার্জনক্ষম সদস্য থাকলে চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে। বিএম কন্টেইনার ডিপো মালিক পক্ষ বিবৃতিতে আরো বলেন, এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোকে পূর্ণ সহায়তা দানের অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।