ঠাকুরগাঁওয়ে পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
তারিথ
: ১৮-০৬-২০২০
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
বিনা টেস্ট বিনা চিকিৎসায় মরতে চাই না, চিকিৎসা সেবা পাওয়া আমার অধিকার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছে জেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি গত ৮ জুন এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে করোনা প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালনের পর আবারো আজ ১৮ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে শহর চৌরাস্তায় একই ব্যানারে গণঅবস্থান ও স্বারকলিপি পেশ কর্মসূচী পালন করেছে এ অঞ্চলের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিকর্মী সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
ঘণ্টা ব্যপী কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬৯ জন। কিন্তু করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ও প্রেরিত নমুনার ফলাফল তেমন পাওয়া যাচ্ছেনা বলে আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী শঙ্কিত ও ভীতীকর পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করছি।
এতে বক্তব্য দেন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও শাখা সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল, জেলা সিপিবির সহ-সাধারন সম্পাদক অ্যাড. আবু সায়েম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াফু তপু, উপজেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি অ্যাড. ইমরারন হোসেন চৌধুরী, শিক্ষক ও সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার সম্রাট প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে পিসিআর ল্যাব না থাকার কারনে জেলার মানুষের পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছেনা। অন্য জেলাতে আমাদের রক্ত ও লালার নমুনা পাঠাতে হচ্ছে। ফলাফল হাতে পেতে সময় লাগছে কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ দিন। এতে করোনা সংক্রমন বিস্তার লাভ করছে আশঙ্কা জনক হারে। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ এজেলার দুজন মানুষ মারাও গেছেন। আইসিইউ না থাকার কারনে আমরা এ দুজন মানুষকে হারিয়েছি। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ টি নমুনা টেস্টর জন্য দিনাজপুরে পাঠানো হচ্ছে। যা এ সময়ের তুলনায় খুবই নগন্য।
সংক্রমনের তুলনায় এত কম সংখ্যক টেস্ট দিয়ে করোনা প্রতিরোধ এ জেলায় কখনো সম্ভব নয়। ধারনা করা হচ্ছে করোনা শনাক্তের জন্য প্রতিদিন গড়ে যতগুলো টেস্ট করা হচ্ছে তার চেয়ে ১০ গুন বেশি করোনা সংক্রমন হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়াও দিনাজপুর আব্দর রহিম মেক্যিাল কলেজে দিনাজপুর সহ চার জেলার করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। অথচ তাদের সক্ষমতা মাত্র ১৮৮ টি টেস্ট।
পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামানের কাছে স্মারক লিপি পেশ করা হয়।