রাজধানীসহ সারাদেশে হঠাৎ করেই লবণ কেনার হিড়িক পড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, তাঁরা শুনেছেন লবণের কেজি প্রতি দর ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ আশঙ্কায় তাঁরা বাড়তি লবণ কিনে রাখছেন। লবণের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির গুজবের প্রভাব পড়েছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও । মঙ্গলবার বিকাল থেকেই লবণের দাম বাড়ছে এমন গুজবে উপজেলার সর্বত্রই মুদি দোকানে ভিড় পড়ে যায় ক্রেতা সাধারণের। এসময় উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গ্রামগঞ্জের দোকানে লবণ কিনতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দাম বাড়ছে এমন আশংকায় ৫-১০ কেজি পর্যন্ত লবণ কিনতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। এদিকে মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্যলবণ মজুত রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একের পর এক ফোন আসতে থাকে লবণের দাম বাড়ছে এমন গুজব সম্পর্কে। প্রতি কেজি লবণ ২৫-১০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে এমন অভিযোগও করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। বেশি দামে লবণ বিক্রয় ও গুজব সৃষ্টিকারীদের ধরতে মঙ্গলবার সন্ধায় ফাঁদ পাতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা। তিনি নিজ কার্যালয়ের কর্মচারীকে বাজারে পাঁঠান লবণ কিনতে। সত্যতা মেলে বেশি দামে লবণ বিক্রয়ের। সাথে সাথেই ভ্রাম্যামাণ আদালতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। উপজেলা মোড় বাজার, পার্বতীপুর বাজার, হাসপাতাল মোড়, হরিণাকুণ্ডু বাজার, কুলবাড়িয়া বাজার, সাতব্রীজ বাজারসহ উপজেলার অসংখ্য বাজারে ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যামাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা নাফিস সুলতানা বেশি দামে লবণ বিক্রয় ও অবৈধ মজুদের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের বেশি দামে লবণ বিক্রয় ও অবৈধ মজুদ না করতে কঠোর নির্দেশনা দেন। এছাড়াও তিনি দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে সাধারাণ মানুষকে বেশি মূল্যে লবণ ক্রয় না করতে অনুরোধ করেন। তিনি মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এছাড়াও জনসাধারণকে গুজবে কান না দিয়ে বেশি মূল্যে লবণ ক্রয় না করার আহবান জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে উপজেলার হাট বাজার ও গ্রামগঞ্জে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। লবণের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। লবণের মূল্য বৃদ্ধি ও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন হবে।