গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন এলাকার হুফ্ফাজুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২০) ও মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৯)। বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, গতকাল সকালে চান্দনা এলাকায় জোড়া খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মাদ্রাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের থাকার ঘরে লাশ দুটি পড়ে ছিল। মাহমুদার গলা, গাল ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খন্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মুক্তার হোসেন বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইব্রাহিম ওই মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষেই সপরিবারে বাস করেন তিনি। ইব্রাহিমের ভাষ্য, আজ ভোরে স্ত্রী মাহমুদা এবং তাঁর দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) ঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে বিছানার ওপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে তিনি আর কিছুই জানেন না।
বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বিরের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল সোমবার রাতে হুজুরকে (ইব্রাহিমকে) উদ্ধার হওয়া দা ধার দিতে দেখেছে। আর ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে নিহত মামুনকে মাদ্রাসার অন্য কক্ষ থেকে হুজুরের কক্ষে ডেকে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।