ধামরাইয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা আটক এক
তারিথ
: ২৬-১০-২০১৯
ধামরাই প্রতিনিধি :
ঢাকার ধামরাইয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ওই স্কুলছাত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ধর্ষক ও সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা (ধামরাই থানায় মামলা নং ৩৯)। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ধামরাইয়ের নিকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাদের প্রতিবেশি চৌহাট ইউনিয়নের মুন্সীচর গ্রামের মোকছেদ আলীর (৫৫) বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যেতো। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোকছেদ আলী ভয়-ভীতি দিয়ে ধর্ষণ করতো তাকে। এভাবে একাধিকবার ধর্ষণ করায় স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা নির্যাতিতা শিশু ও তার পিতাকে একটি বাড়িতে জিম্মি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ধর্ষককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। আরও জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা জরিমানার ৬০ হাজার টাকা পকেটে ভরে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয় মাতব্বরা। এব্যাপারে শিশুটির পিতা জানান, তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে চাঁন মিয়া, ফারুক মেম্বার, আল আমীন, অলক রায়, আবু বকরসহ কয়েকজন। তবে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তার সমাজের মাতব্বর রজ্জব বেপারী, মরণ বেপারী ও সোনা মিয়াকে জানান। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরে ধামরাই থানা পুলিশ ধর্ষক ও বিচার করা মাতব্বরদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের ভয়ে তারা পালিয়ে গেলেও ধর্ষকের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন নির্যাতিতার পিতার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, চাঁন মিয়ার বাড়িতে মীমাংসা করা হয়েছে। জরিমানার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাবেন ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা। ধর্ষকের ভাই দরবার আলী ৬০ হাজার টাকা চাঁন মিয়ার কাছে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।পুলিশের মিডিয়া সেল এর তথ্য প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা শামিম মুঠোফোনে ধর্ষণের ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা উল্লেখ করেন এবং ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে ধর্ষকের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান।