নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে শিশুটির মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত রাজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেফতার রাজন উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের শফিক উল্যাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশুটি বিদ্যালয় থেকে আসার সময় সিএনজি চালক রাজন তাকে বাড়ি পৌছেঁ দেওয়ার কথা বলে একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এ সময় শিশুর স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় রাজনকে (২৫) আটক করে গণধোলায় দেয়। পরে রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি ও ও তার মা জানান, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিল শিশুটি। পথে প্রতিবেশী ও সিএনজি চালক রাজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে রাজন শিশুটিকে বাড়িতে না নিয়ে বসন্তপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় খান সাহেবের গ্যারেজে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটিকে বাড়ির কাছকাছি পৌঁছে দিয়ে তার হাতে ২০ টাকা গুজে দেয়। সেই সঙ্গে ঘটনাটি কাউকে বললে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে স্বজনরা শিশুটিকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটির মামা জানান, শিশুটি গত শনিবার রাতে ঘুমের মধ্যে কয়েক বার আতঙ্কে চিৎকার দিয়ে উঠেছে। তার বাবা সৌদি প্রবাসী। বর্তমানে তার পরিবার রাজনের স্বজনদের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। নোয়াখালীর জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তার শারিরীক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক রাজনকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল রোববার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি দেওয়ার জন্য শিশুটিকে জেলা জজ আদালতে পাঠানো হবে।